যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ১২টা ১ মিনিটে শহিদ হাদিস পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসমূহে সঠিক নিয়মে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
ঐদিন সকাল সাড়ে নয়টায় নগরভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বাদজোহর বা সুবিধামত সময়ে সকল মসজিদে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত, দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। প্রার্থনার সময় ভাষা শহিদদের সঠিক নাম ব্যবহার করতে হবে। বিকেল চারটায় বয়রাস্থ বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে অমর একুশের বইমেলার মঞ্চে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ছয়টায় শহিদ হাদিস পার্কে খুলনা জেলা তথ্য অফিস চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও একুশের পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। শহিদ হাদিস পার্কে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছড়া পাঠ, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি খুলনা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল তিনটায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি খুলনা জেলা কার্যালয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার ক-বিভাগ: শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি, বিষয়: শহিদ মিনার, মাধ্যম: উন্মুক্ত, খ-বিভাগ: তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি, বিষয়: প্রভাতফেরি, মাধ্যম: জল রং ও প্যাস্টেল রং, গ-বিভাগ ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি, বিষয়: ভাষা আন্দোলন, মাধ্যম: জল রং/প্যাস্টেল রং এবং ঘ-বিভাগ: কেবল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য, বিষয় ও মাধ্যম উন্মুক্ত।
২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শহিদ হাদিস পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।